ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষকের বাড়ীতে থেকে রুপা মুদ্রা উদ্ধার

 

ঠাকুরগাঁওয়ে এক স্কুলশিক্ষকের বাড়ি থেকে কলস ভর্তি রুপা মুদ্রা থাকলেও পুলিশ উদ্ধার করেন মাত্র ১৪৩টি। এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি।
জানাযায় বলরাম পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেশব চন্দ্র নিজ বাড়িতে শনিবারে সকালে সেপটি ট্যাংক স্থাপনের জন্য মাটি খনন করছিলো। এক পর্যায়ে শ্রমিক মহেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ খননকালে মাটির ভিতরে একটি ধাতব পাত্র ( কাশা’র কলস) ভর্তি রুপা মুদ্রা দেখতে পেয়ে বাড়ির মালিক কেশব চন্দ্র বর্মণকে দিয়ে দেন। ধাতব পাত্র পাওয়ার বিষয়টি এক পর্যায়ে ফাঁস হয়ে যায়। ঘটনার ৩দিন পর এলাকায় গুনজনও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এলাকার শত শত নারী-পুরুষ কলস ভর্তি রুপার মুদ্রা এক পলক দেখার জন্য বাড়িতে ভীর জমায়।
সোমবার (১৫ মার্চ) রাত ১১ টায় সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের মৃত শান্ত কুমার বর্মণের ছেলে স্কুলশিক্ষক কেশব চন্দ্র’র বাড়ি থেকে ওসি চিত্ত রঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে এসআই মনির হোসেন ও তার সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনা স্থলে গিয়ে ধাতব পাত্রটি উদ্ধার করেন।
শ্রমিক মহেন্দ্র জানান, মাটি খননকালে কাশার কলস ভর্তি রুপার মুদ্রা পাই। পরে আমি বাড়ির মালিকর হাতে তুলে দেয়। তবে মালিক আমাকে বলেছেন মুদ্রা পাওয়ার বিষয়টি যাতে কেউ না জানে। মুদ্রা পাওয়ার ব্যাপারে স্কুলশিক্ষক কেশব চন্দ্রের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী ও শ্রমিক মহেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ বলছেন মাটির ভিতর থেকে উদ্ধারকৃত পাত্রটি ভর্তি ছিলো যার ওজন আনুমানিক ৫-৬ কেজী। অন্যদিকে পুলিশ বলেছে পাত্রে শুধু ১৪৩টি মুদ্রা ছিলো। প্রতিবেদক থানায় তথ্য নিতে ওসির কক্ষে গেলে কক্ষ তালা বন্ধ পেয়ে ডিউটি অফিসারের রুমে গেলে তিনি ও রুমে নেই অনেক খোজাখুজি ও মোবাইল করার পর আসে বললেন ওসি স্যারের হুকুম ছাড়া কাউকে কোন তথ্য দেওয়া যাবে না। তবে একটি জিডি করা হয়েছে। জিডির  নম্বর জানতে চাইলে পুলিশ খারাপ আচরণ করতে থাকেন। তবে ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় বলছেন আমি বাইরে আছি। এখন কথা বলতে পারবো না।
এব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে ফোনে ও ম্যাসেজ করলেও তিনি কথা বলতে রাজী হননি।

ঠাকুরগাঁও সদর প্রতিনিধি: